কসমসের চতুর্থ এপিসোড, Heaven and Hell এ আপনাদেরকে স্বাগতম। এই এপিসোডে স্বর্গ আর নরকের প্রবেশদ্বারের পরিচয় করিয়ে দেবেন কার্ল সেগান, আর সেটাকে বাংলায় বুঝতে সাহায্য করবে অনুবাদকদের আড্ডা।
অনুবাদ সম্পাদনা
ফরহাদ হোসেন মাসুম
অনুবাদ দল
অভিষেক সোম জিত
শামসুল আরেফিন প্রিন্স
নাফিস ইমতিয়াজ পিয়াল
ফরহাদ হোসেন মাসুম
এপিসোড ৪ বাংলা সাবটাইটেল –
Episode 4 – Heaven and Hell, এখানে ক্লিক করে ডাউনলোড করুন
.
সকল এপিসোডের ভিডিও ডাউনলোড লিংক –
কসমস ডাউনলোড লিংক
কসমসের চতুর্থ এপিসোড আমাদের সৌরজগতেই অবস্থিত স্বর্গ আর নরক নিয়ে। পৃথিবী যদি প্রাণের জন্য স্বর্গ হয়, তাহলে শুক্রগ্রহ খুব সম্ভবত নরকের সবচেয়ে কাছাকাছি। কারণ, এর তাপমাত্রা প্রায় ৪০০ ডিগ্রী সেলসিয়াসের কাছাকাছি। এর বায়ুমণ্ডলের চাপও পৃথিবীর চেয়ে অনেক বেশি, কারণ বায়ুমণ্ডলটি ৯০ গুণ ঘন।
গল্প শুরু করতে গিয়ে সেগান চলে গেছেন দ্বাদশ শতাব্দীতে, যেখানে ৫ জন সন্ন্যাসী এক বসন্তের বিকেলে চাঁদের একটা অংশকে যেন দুভাগ হয়ে যেতে দেখলেন। তারা যেটা দেখেছিলেন, সেটার পুংখানুপুংখ বর্ণনা লিখে রেখেছিলেন এক যাজক। আর সেই বর্ণনা পড়েই ৮০০ বছর পর বিজ্ঞানীরা বের করতে পেরেছিলো, তারা আসলে কী দেখেছিলেন। সত্যকে নিরপেক্ষভাবে লিপিবদ্ধ করে যাওয়া ঐ লোকগুলোর কাছে আমরা ঋণী, আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মরা ঋণী।
স্বর্গ আর নরকের মধ্যে পার্থক্য যে খুব বেশি নয়, সেটাও দেখিয়েছেন সেগান। পৃথিবীর মত স্বর্গ থেকে শুক্র বা ভেনাসের মত নরক হয়ে যেতে প্রকৃতিকে খুব বেশি পাল্টাতে হবে না। আমাদের নির্বুদ্ধিতায়, আত্ম-অহমিকায় আমরা ইতোমধ্যেই অনেক পরিবর্তন শুরু করে দিয়েছি, গ্রহের বাসযোগ্যতা নষ্ট করে ফেলছি। কার্ল সেগান সেই ১৯৮০ সালেই বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন, তাপমাত্রা বৃদ্ধি, জলবায়ু উদ্বাস্তু নিয়ে কথা বলেছেন। আমরা কি সেসব কথা শুনছি? তাই তিনি আক্ষেপ করে বলেছেন, “আমাদের প্রজন্মকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, আমরা কাকে বেশি মূল্য দেবো। স্বল্পকালীন মুনাফা? নাকি গ্রহের বাসযোগ্যতা?”
কার্ল সেগানের একটা বইও আছে কসমস নামে। ঐ বইয়ের সাম্প্রতিক সংস্করণে তার শিষ্য নীল ডিগ্রাস টাইসন একটা কথা লিখেছেন “তথ্য অনেকেই দেয়। কিন্তু খুব কম কাজের মধ্যেই সেই তথ্যটা জ্ঞানের আকারে হাজির হয়। কসমসে সেটা হয়েছে।” আমাদের উচিত, সেই জ্ঞানটাকে বুকের মধ্যে রাখা, সেই জ্ঞানের আলোতেই নিজেদেরকে এবং পরবর্তী প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধ করা।