খুবই স্বর্গীয় গানের কথাগুলো, সুরও এ আর রেহমানের। আর গেয়েছেন ঐশ্বরিক কণ্ঠের অধিকারী ঈশুদাস। গানটা মোটেও ধর্মীয় কিছু বলে না, কিন্তু একটা আধ্যাত্মিক ভাব এনে দেয়। আসুন, বাংলায় উপভোগ করি।
অনূদিত লিরিকস –
পোষা পাখিটা কোলে, আর উঠোনে গাইতে থাকা কোকিলে
পৃথিবীর আনন্দ তো এগুলোই, অশ্রুর সময় কই, বলো?
স্বর্গ তো এখানেই, ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র আনন্দ নিয়ে
আর ভালোবাসার ঝর্ণা চলে ক্ষুদ্র মনে বয়ে
পাখি যদি উড়তে চায়, তাহলে পাখার প্রয়োজন আর কতটুকু?
ভালোবাসাই যথেষ্ট, টাকাপয়সা দিয়ে কী আর হবে!
আকাশেও আনন্দ, যমীনেও আনন্দ
এই যমীন ফুঁড়ে উঠে আসা অংকুরেও আনন্দ
শীতের সকালে রোদের আনন্দ, বর্ষায় শুরু রোদের আনন্দ
আর বৃষ্টিতে পাল্টে যাওয়ামাটির রঙ্গেও আনন্দ
জীবনের এই আনন্দ শতবর্ষের আনন্দ, প্রিয়
পৃথিবীর প্রত্যেক হৃৎপিণ্ডের ধুকপুকানিতে আনন্দ!
তোমার মাঝেই রেখে যাচ্ছি, শেষ বয়সের আনন্দ
পরজন্মে যদি তোমায় পাই, তবে তো আরো আনন্দ
হাড় কনকন রাতে তোমার দেহের উত্তাপের আনন্দ
আর সারাটা জীবন দিয়েছো তুমি, বেঁচে থাকার আনন্দ
আপন করে নেয়ার আনন্দ, সম্পর্কের আনন্দ, প্রিয়
পরের তরে টপটপ করা চোখের হলেও আনন্দ!
পোষা পাখিটা কোলে, আর উঠোনে গাইতে থাকা কোকিলে
পৃথিবীর আনন্দ তো এগুলোই, অশ্রুর সময় কই, বলো?