ছায়াপথের জ্ঞানকোষ
কসমসের দ্বাদশ পর্ব Encyclopedia Galactica-তে আপনাদের সবাইকে স্বাগতম। কসমসটা বিশাল! কত কত সভ্যতা থাকতে পারে এখানে, কে জানে? সেই সব জগতগুলো নিয়ে যদি একটা সংকলন থাকতো, কেমন হতো সেটা? ওখানে আমাদের বিশ্বটা নিয়ে কী লেখা থাকতো? এ যেন সম্পূর্ণ নতুন একজোড়া চোখে পৃথিবীকে দেখা! আসুন, কার্ল সেগানের সাথে সেভাবে এই পৃথিবীটাকে দেখি।
অনুবাদ সম্পাদনা
ফরহাদ হোসেন মাসুম
অনুবাদ দল
রজত রায়
শান্তা সোহেলী ময়না
শায়লা শারমিন
এবং ফরহাদ হোসেন মাসুম
এপিসোড ১২ বাংলা সাবটাইটেল –
Episode 12 – Encyclopedia Galactica, এখানে ক্লিক করে ডাউনলোড করুন
.
সকল এপিসোডের ভিডিও ডাউনলোড লিংক –
কসমস ডাউনলোড লিংক
আমাদের ইতিহাসে, আমরা কি ভিন্ন কোনো জগতের ভাষা বোঝার চেষ্টা করেছি? উত্তরটা হচ্ছে, হ্যাঁ। সেটা ভিনগ্রহের ভাষা ছিলো না। কিন্তু ভিন্ন এক সময়ের ছিলো, ভিন্ন এক সংস্কৃতির ছিলো। এমন একটা ভাষা যা হারিয়ে গিয়েছিলো হাজার বছরের জন্য – মিশরীয় হায়ারোগ্লিফিকস বা চিত্রলিপির ভাষা। কিভাবে আবারো সেই ভাষার মর্মোদ্ধার করলাম আমরা? শ্যাম্পোলিওন নামের সেই ব্যক্তিটি কিভাবে বুঝলেন সেই ভাষা দিয়ে আমাদেরকে কী বলা হচ্ছে? কেমন খুশি হয়েছিলেন তিনি নির্বাক এক ভাষার মুখে পুনরায় ধ্বনি ফোটাতে পেরে? কী আধ্যাত্মিক এক অনুভূতি!
একদিন হয়তো, ভিনগ্রহ থেকে সত্যি সত্যি একটা সংকেত আসবে। আমাদের মধ্যে থেকে নতুন কোনো এক শ্যাম্পোলিওন এগিয়ে যাবে, সেই বার্তার অর্থ উদ্ধারের কাজে।
অনেকেই অবশ্য দাবি করেন যে, এলিয়েনরা ইতোমধ্যেই আমাদের এখানে এসেছে। আজকের এপিসোডটা শুরুই হয়েছিলো তেমন এক দাবি নিয়ে। বেটি আর বার্নি হিলের বলা গল্পকে মুভির মত বানিয়ে দেখানো হয়েছে এই এপিসোডে। এবং ঠাণ্ডা মাথায় যুক্তি দিয়ে দেখানো হয়েছে, কেন দাবিটা সত্য নয়। এসব দাবি শুনতে ভালো লাগলেও, বিজ্ঞানের রাস্তায় আমাদেরকে সংশয়বাদী হতে হবে, খুঁটিয়ে যাচাই করে দেখতে হবে প্রত্যেকটি দাবি। আর সেগান এই জায়গায় এসে বলবেন, দাবি যতটা বিস্ময়কর, তার প্রমাণকেও তেমনই শক্তিশালী হতে হবে।
শুধু এক্ষেত্রে নয়, সবখানেই এই কথাটা প্রযোজ্য। এটাই হোক, এই এপিসোডের take-home message.
Thanks for your post