আমি সব দুঃখকে মেপে নিই
সূক্ষ, সতর্ক দৃষ্টিতে-
ভাবি এরা কি আমারগুলোর মতই ভারী-
নাকি অপেক্ষাকৃত হালকা, নিক্তিতে।
আমি ভাবি তারা কি এর ভার বইছে বহুকাল ধরে
নাকি শুরু করলো এইমাত্র
আমি স্মরণ করতে পারিনা কবে থেকে এ ভার বইছি
যেন ম্লান হয়ে গেছে অহোরাত্র।
ভাবি বেঁচে থাকা কি দুঃসহ-
আর যদি তারা চায়
তবে কি তারা বেছে নিতে পারে,
বাঁচা না বাঁচার দায়।
আমি দেখেছি কেউ-অনেক কষ্টে-
মৃদু হাসি ফোটায় মুখে-
যেন আঁধারে একটি প্রদীপ
যার সলতে ফুরিয়ে গেছে।
আমি ভাবি যে পুঞ্জীভূত ক্ষত-
তারা বয়ে চলেছে সহস্রবছর ধরে-
যা আগে তাদের যন্ত্রনা দিত- এতদিন পর
হয়তো গেছে সেরে।
নাকি আজো সেখানে ব্যথা জাগে
শতবর্ষের দুঃসাহসে-
ভালোবাসার বদলে, আজ সে ব্যথায়-
চরাচর ছেয়ে গেছে-
আমি শুনেছি, শোকার্তের নাকি অভাব নেই-
কত কারণেই তো মানুষ দুঃখী হয়-
মৃত্যু-তার মধ্যে অন্যতম, মৃত্যু একবারই হয়-
তারপর শুধু আঁধার-
আছে দারিদ্রের শোক-শীতার্তের মর্মবেদনা-
আছে নিরাশা-
কখনো প্রিয়জন থেকে দূরে সরে যাওয়া,
কখনোবা ফিরে আসা-
যদিও বের করতে পারিনি ঠিক করে
কোন দুঃখটা হতে পারে আমার-
তবু এই বিরামহীন পীড়াতেই
স্বস্তি খুঁজে পাই বারংবার।
যাচাই করি কতরকমের দুঃখ আছে
আর কি করে তাদের বইতে হয়-
মুগ্ধ হয়ে ভাবি তাদের অনেককেই
একেবারে নিজস্ব মনে হয়।
~এমিলি ডিকিন্সন
অনুবাদকের অনুরোধঃ ভুলত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।