THE RETURN OF THE KING BANGLA SUBTITLE
অনুবাদ সম্পাদনা ও মুভি রিভিউ–
ফরহাদ হোসেন মাসুম
অনুবাদ দল –
খালেদ ইমাম সৌরভ, নির্ঝর রুথ ঘোষ,
অনীক আন্দালিব, রাসিফ আজওয়াদ, সাইদ হোসাইন,
আসিফ উল শফি, রিশাদ উন নবী রনি,
এবং ফরহাদ হোসেন মাসুম
দ্যা রিটার্ন অফ দ্যা কিং এর বাংলা সাবটাইটেল –
এখানে ক্লিক করে ডাউনলোড করুন
এই ট্রিলজির প্রথম পর্ব, ফেলোশিপ অফ দ্যা রিং এর বাংলা সাবটাইটেল এর জন্য দেখুন, এখানে
আর দ্বিতীয় পর্ব, রিটার্ন অফ দ্যা কিং এর বাংলা সাবটাইটেলের জন্য দেখুন, এখানে
দ্যা রিটার্ন অফ দ্যা কিং-এর কাহিনী সূত্রপাতঃ
আড়াই হাজার বছর আংটিটা পানির নিচে ছিলো। সেখান থেকে সেই রিং পেয়েছিলো ডিগল নামের এক হবিট। রিং-টার একটা বিশেষ ক্ষমতা হলো, যে-ই এটাকে দেখবে, সে-ই এটা নিজের করে পেতে চাইবে। আংটির এই লোভে ডিগল-কে হত্যা করে সেই রিং ছিনিয়ে নেয় তারই বন্ধু স্মিগল। বইয়ের কাহিনী অনুসারে, স্মিগল এরপর চুপিচুপি নিজেদের বাসায় যায়। সেখানে গিয়ে লুকিয়ে লুকিয়ে শোনে, সবাই তার কু-কীর্তির কথা জেনে তাকে ঘৃণা করছে। তাই সে সবার অগোচরে চলে গেল Misty mountain এর গুহায়। আংটিটা থাকার বদৌলতে স্মিগল অস্বাভাবিক দীর্ঘায়ু লাভ করলো। কিন্তু আংটিটা তার ভিতরে একটা দ্বৈত স্বত্ত্বা তৈরি করেছিলো, তার ভেতরের ভালো মানুষটা আংটিটাকে ঘৃণা করতো, আবার নষ্ট স্বত্ত্বাটা আংটিটাকে ভালোবাসতো…..
বিলবো ব্যাগিন্স ৫০ বছর আগে Misty Mountain এর গুহায় পেয়েছিলো সেই আংটি। সে চাইলে তখন স্মিগলকে হত্যা করতে পারতো। কিন্তু স্মিগলের ভূমিকা এই কাহিনীতে আরো বাকি ছিলো। এই ৫০ বছর আংটিটাকেও খুঁজে বেড়িয়েছে স্মিগল। ফার্স্ট পার্টেই সে ফেলোশিপের পিছু নেয়, টু টাওয়ার্স-এ ফ্রোডোর মুখোমুখি হয় স্মিগল, আর রিটার্ন অফ দ্যা কিং-এ এসে সে পরিণত হয় অন্যতম চমকপ্রদ একটা চরিত্রে।
কাহিনীর ব্যাপ্তি আরো বেড়ে যায় এই অংশে এসে। গোটা মিডল আর্থ দুই পক্ষে ভাগ হয়ে যায়। কেউ Sauron এর পক্ষে, তো কেউ তার বিপক্ষে। দুইপক্ষে শুরু হয়ে যায় মহাকাব্যিক বিশ্বযুদ্ধ। যেমনটা আগেও বলেছি- এই যুদ্ধের বর্ণনার সাথে তুলনা চলে শুধুমাত্র ইলিয়াডের গ্রীক-ট্রয় যুদ্ধের অথবা মহাভারতের কৌরব-পাণ্ডব যুদ্ধের সাথে। আদতে এখানে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকেই। Men-দের দুই রাজ্য Rohan এবং Gondor কে ধরে নেয়া যায় সোভিয়েত এবং ব্রিটিশ-আমেরিকা মিত্রপক্ষের সাথে। আর Sauron এবং Saruman কে তুলনা করা যায় ইটালি এবং জার্মানীর সাথে।
রিটার্ন অফ দ্যা কিং ছাড়া, ১১টা অস্কার পাওয়া মুভি ইতিহাসে আছে আর মাত্র দুটো – Titanic এবং Ben Hur. আমার ব্যক্তিগত মতামত হচ্ছে, বাকি দুটোর কোনটাই রিটার্ন অফ দ্যা কিং এর পারফেকশনের কাছাকাছিও যেতে পারেনি। মুভিটার শেষ ২৫ মিনিটের বেশ কয়েকটা দৃশ্য এমন ছিলো, যার পরেই THE END লেখা উঠে যেতে পারতো। কিন্তু যে দৃশ্যটা দিয়ে শেষ হলো, এর চেয়ে better কিছুই হতে পারতোনা।
Over The Trilogy, Over Again
এই ট্রিলজির সবচেয়ে কঠিন কাজ ছিলো স্ক্রীনপ্লে বা চিত্রনাট্য। And the team did a hell of a job. Howard Shore এর মিউজিক ছিলো প্রত্যেকটা দৃশ্যের জন্য যথার্থ, ঠিক যেখানে যেমনটা চাই।
আমরা যখন এ ধরনের কোন এপিক মুভি দেখা আরম্ভ করি, তখন আমরা আগে থেকেই অনুমান করতে পারি, ভালো পক্ষের জয়, মন্দের পরাজয় ঘটবে। কিন্তু কিভাবে ঘটবে, শেষ পর্যন্ত মূল চরিত্রগুলোর কপালে কি ঘটবে, সেগুলোই তখন মুখ্য বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। আর এতো বিশাল ব্যপ্তির কাহিনী, যেখানে মূল চরিত্রের সংখ্যাই দশের ওপরে, তখন আগ্রহটা মায়ার মত জাল ছড়াতে থাকে।
বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক বিষয় বারবার উঠে এসেছে এই কাহিনীতে। রাষ্ট্রীয় সমাজ ব্যবস্থা, আন্তঃরাষ্ট্রীয় শত্রুতা ও মিত্রতা, কূটনীতি সাম্রাজ্যবাদ এবং সাম্রাজ্যবাদের প্রতিরোধ, শিল্পায়ন ও পরিবেশ দূষণ – এসব ব্যাপারকে কাহিনীর মধ্য দিয়ে রুপকভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। খুবই দক্ষতার সাথে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে ব্যক্তিগত অনুভূতিগুলোও, যেমন- জীবনদর্শন, বন্ধুত্ব, অসহায়ত্ব, অনুশোচনা, ভালো-মন্দের দ্বন্দ্ব ইত্যাদি। সোজা কথায়, লিজেন্ড হিসেবে একটা মুভিকে হাজির করার জন্য এবং দর্শকদের সাথে প্রত্যেকটা চরিত্রের ব্যক্তিগত সম্পর্ক তৈরির জন্য যা যা প্রয়োজন, সবই আছে এই ট্রিলজি তে। তাদের ঠোঁট প্রসারিত হলে আপনিও হাসবেন, তাদের চোখ থেকে জল গড়ালে আপনারও চোখ ঘোলা হয়ে আসবে।
এখন পর্যন্ত আমার দেখা সেরা মুভি লর্ড অফ দ্যা রিংস। জানি, আপনারা অনেকেই মুভিটা দেখে ফেলেছেন অনেক আগেই। হয়তো তখন মনে হয়েছিলো, “হুম, ভালো মুভি, কিন্তু লাইফের বেস্ট মুভি না”…… তাদেরকে আমার বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে একটা ঘটনা বলছি, আমার একটা বন্ধু কোনভাবেই এক মুভি দুইবার দেখার পক্ষপাতী না। সে ছয় বছর আগে এই ট্রিলজি দেখেছে, কিন্তু এটা তার দেখা বেস্ট মুভি না। জাস্ট আমার পীড়াপীড়িতে আবার দেখলো, and he proudly admits now that, this is the best movie he has ever seen.
আপনিও আবার বসে যান, হয়তো নতুন করে আবিষ্কার করবেন লর্ড অফ দ্যা রিংস’কে।
অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই।