আফ্রিকান-আমেরিকান কৃষ্ণাঙ্গদের সকলস্তরে মুক্তির দাবিতে ধ্বনিত হওয়া মারটিন লুথার কিং এর সেই অগ্নিঝরা ভাষণের শেষাংশটুকু কবিতার মতই কানে বেজে ওঠে নিত্যদিন। এখানে প্রথম চার লাইন আমেরিকা নামক একটি গান থেকে নেয়া।
হে আমার দেশ তোমার মধ্যেই আছি আমি, আছে স্বাধীনতার মিঠে ক্ষেত, তাইতো আমি গাই তোমারি গান।
এই ভূমিতে আমার পূর্বপুরুষ শায়িত, এই ক্ষেত্র তীর্থযাত্রীদের ঔদ্ধত্য,
প্রতিটি পর্বতের আনাচে কানাচে বেজে ওঠে স্বাধীনতার প্রাণ!
আর আমেরিকা’কে একটা বড় জাতি হতে হলে, অবশ্যই তাকে সত্যের হাত ধরতে হবে।
আর তাই স্বাধীনতার প্রাণ বেজে উঠুক নিউ হ্যাম্পশায়ারের প্রকাণ্ড পাহাড়ের চূড়ায়,
স্বাধীনতার প্রাণ বেজে উঠুক নিউ ইয়র্কের পরাক্রমশালী পর্বতের গুহায়।
পেন্সেলভানিয়ার সুউচ্চ অ্যালাগেইনি পর্বতমালাতেও বেজে উঠুক স্বাধীনতার ধ্বনি,
এই স্বাধীনতার প্রাণ আরো ছুঁয়ে যাক তুষারাবৃত কলোরাডোর শৈল প্রস্তর মণি।
স্বাধীনতার প্রাণ বেজে উঠেছে ক্যালিফোর্নিয়ার অতি মোহনীয় ঢালে,
শুধু তাই নয়ঃ
স্বাধীনতা বাণী ধরা দিয়েছে জর্জিয়ার পাথুরে পর্বতের ছেঁড়া এক জালে।
স্বাধীনতার চঞ্চল প্রাণ আজ বেজে উঠুক টেনেসির মনোহর লুকাউট পর্বতে,
মিসিসিপির প্রতিটি পাহাড় আর ঢিবিতে স্বাধীনতা গাইবে এক সমবেত চিত্তে।
প্রতিটি পর্বতের আনাচে কানাচে বেজে ওঠে স্বাধীনতার প্রাণ!
আর যখন এটা ঘটবে
এবং
যখন আমরা প্রতিটা গ্রাম, মহল্লা, শহর থেকে স্বাধীনতার ঘণ্টা’কে ধ্বনিত হতে দিবো
তখন জাতি ধর্ম নির্বিশেষে স্রষ্টার সকল সন্তানেরা, কৃষ্ণাঙ্গ থেকে শ্বেতাঙ্গ, ইহুদি এবং অইহুদি, প্রোটেস্ট্যান্ট এবং ক্যাথলিক সবাই হাতে হাত রেখে গেয়ে উঠবে পুরোনো নিগ্রোদের আত্মিক ভাষায়ঃ
“মুক্ত অবশেষে!
মুক্ত পরিশেষে!
ধন্যবাদ মহান স্রষ্টাকে, আমরা মুক্ত এই অন্তে!”
মূলঃ জিনিয়াস.কম