অজ্ঞতা ছড়ানোর বিদ্যা নিয়ে পড়াশোনা করেন যিনি

কায়েমী স্বার্থবাদী মানুষ কিংবা কোম্পানিগুলো কেমন করে অজ্ঞতার বিস্তার ঘটানোর মাধ্যমে জ্ঞানকে ঘোলাটে করে তোলে? জর্জিনা কেনিয়ন একটি উপযুক্ত পরিভাষা খুঁজে পেয়েছেন যার মাধ্যমে এই বাস্তব ঘটনাটিকে বর্ণনা করা যায়।

মূল রচনা— The man who studies the spread of ignorance
লেখক— জর্জিনা কেনিয়ন

১৯৭৯ সালে তামাক ইন্ডাস্ট্রির একটি গোপন মেমো জনগণের সামনে ফাঁস করে দেওয়া হয়েছিলো। এই ঘটনার এক দশক পূর্বে ব্রাউন এন্ড উইলিয়ামস টোব্যাকো কোম্পানি ধূমপান ও স্বাস্থ্য প্রস্তাবনা (Smoking and Health Proposal) নামে অভিহিত এই মেমোটি লিখেছিলো। “ধূমপানবিরোধী বাহিনী”-কে প্রতিহত করতে তামাক ইন্ডাস্ট্রির বৃহৎ প্রতিষ্ঠানগুলো যেসকল কৌশলের প্রয়োগ ঘটাতো, এই মেমোর কারণে সেগুলো ফাঁস হয়ে গিয়েছিলো।

দলিলটির সবচেয়ে চাঞ্চল্যকর অংশগুলোর একটিতে জনসাধারণের কাছে সিগারেট বিপণন করার কৌশলটি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছেঃ “সাধারণ মানুষের মনে বিদ্যমান ‘সত্য কাঠামো’গুলোকে পরাজিত করতে হলে আমাদের সবচেয়ে সেরা উপায়টি হবে তাদের মধ্যে এগুলোর প্রতি অবিশ্বাস তৈরী করা। আর এজন্য ‘সন্দেহ’ই হতে পারে তাদের জন্য আমাদের সেরা পণ্য। আর এটা বিতর্ক বাধিয়ে দেওয়ারও একটা মাধ্যম।”

এই চাঞ্চল্যকর উন্মোচন স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসবিদ রবার্ট প্রক্টরকে আগ্রহী করে তোলে। অধ্যাপক প্রক্টর তামাক প্রতিষ্ঠানগুলোর নীতি এবং ধূমপানের ফলে ক্যান্সার সংঘটনের বিষয়ে সংশয় ছড়িয়ে দেওয়ার কাজটি তারা কীভাবে করে, সেই বিষয় নিয়ে গবেষণা শুরু করেছিলেন।

ধূমপানের ক্ষতিকর প্রভাব বিষয়ক প্রকৃত সত্যকে অস্পষ্ট করার জন্য তামাক ইন্ডাস্ট্রির বৃহৎ কোম্পানিগুলোর বিলিয়ন বিলিয়ন অর্থ ব্যয় করার কৌশল দেখে প্রক্টর একটি নতুন শব্দ সৃষ্টি করেছিলেন (কৃতজ্ঞতাঃ Getty Image)
ধূমপানের ক্ষতিকর প্রভাব বিষয়ক প্রকৃত সত্যকে অস্পষ্ট করার জন্য তামাক ইন্ডাস্ট্রির বৃহৎ কোম্পানিগুলোর বিলিয়ন বিলিয়ন অর্থ ব্যয় করার কৌশল দেখে প্রক্টর একটি নতুন শব্দ সৃষ্টি করেছিলেন (কৃতজ্ঞতাঃ Getty Image)
প্রক্টরের অনুসন্ধানে দেখা যায়, তামাক ইন্ডাস্ট্রি তার পণ্যের ক্ষতিকর দিকগুলো সম্বন্ধে ভোক্তাদের অজ্ঞাত রাখতে চায় এবং ধূমপানের স্বাস্থ্যগত প্রভাব সম্বন্ধে প্রকৃত সত্যকে অস্পষ্ট করার জন্য বিলিয়ন বিলিয়ন অর্থ ব্যয় করে। এই অন্বেষণের দ্বারা পরিচালিত হয়ে তিনি অজ্ঞতার সুচিন্তিত প্রচার বিষয়ক গবেষণা করার উদ্দেশ্যে ‘অজ্ঞতাবিদ্যা’ (agnotology) শব্দটির অবতারণা করেন।
শব্দটি উদ্ভূত হয়েছে নিওক্লাসিকাল গ্রীক শব্দ এগনোসিস থেকে, যার অর্থ অজ্ঞতা কিংবা ‘না জানা’ এবং অধিবিদ্যার শাখা অন্টোলজি থেকে, যেটি সত্তার প্রকৃতি নিয়ে কাজ করে। সাধারণভাবে কোনো পণ্য বিক্রি অথবা অনুগ্রহ লাভের উদ্দেশ্যে দ্বিধা ও কপটতা ছড়িয়ে দেওয়ার স্বেচ্ছাকৃত আচরণ সম্পর্কিত বিদ্যাই হলো অজ্ঞতাবিদ্যা।
“ক্ষমতাশালী ইন্ডাস্ট্রি কীভাবে তার পণ্যদ্রব্য বিক্রয় করার জন্য অজ্ঞতা প্রচার করে তা নিয়ে আমি গবেষণা করছিলাম। অজ্ঞতাই শক্তি… এবং অজ্ঞতার সেচ্ছাকৃত উদ্ভাবন হলো অজ্ঞতাবিদ্যা। অজ্ঞতাবিদ্যা নিয়ে কাজ করতে গিয়ে আমি ক্লাসিফাইড সায়েন্সের গোপন জগতকে আবিষ্কার করেছি এবং ভেবেছি যে, ইতিহাসবিদদের এটার প্রতি আরো বেশি মনোনিবেশ করা উচিত।”
প্রক্টর বলেন, ১৯৬৯ সালের মেমো এবং তামাক ইন্ডাস্ট্রির ব্যবহৃত কৌশল অজ্ঞতাবিদ্যার উৎকৃষ্ট দৃষ্টান্তে পরিণত হয়েছে। “অজ্ঞতা মানে শুধু এখন-পর্যন্ত-অজানা ব্যাপারটিই নয়, এছাড়াও এটি একটি রাজনৈতিক চাতুরি, আপনাকে ‘জানতে না দেওয়া’র জন্য ক্ষমতাশালী দালালদের একটি সেচ্ছাকৃত উদ্ভাবন।”
প্রক্টর তাঁর এই অনুসন্ধানে সহযোগিতার জন্য ইউসি বার্কলে’র ভাষাতাত্ত্বিক ইয়াইন বোয়ালের সাহায্য নিয়েছেন, এবং তাঁরা দুজনে মিলে এই পরিভাষার পত্তন করেন- ১৯৯৫ সালে নতুন এই শব্দের নির্মাণ ও প্রয়োগ পরিলক্ষিত হয়। অবশ্য পূর্ববর্তী দশকগুলোতেই প্রপঞ্চটি নিয়ে প্রক্টর তাঁর অধিকাংশ বিশ্লেষণের অবতারণা করেছিলেন।

ভারসাম্য কৌশল

অজ্ঞতাবিদ্যা আজও সেই সময়ের মতো সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ যখন প্রক্টর ক্যান্সার ও ধূমপান সম্পর্কিত সত্য নিয়ে তামাক ইন্ডাস্ট্রির বিভ্রান্তিকরণ সম্বন্ধে অধ্যয়ন করেছিলেন। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, ২০১১ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা তাঁর জন্ম সনদ প্রকাশ করার আগ পর্যন্ত কয়েক মাস যাবত বিরোধীপক্ষ তাঁর জাতীয়তা নিয়ে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যমূলক সন্দেহ ছড়িয়েছিলো। আরেকটি ঘটনায় দেখা যায়, অস্ট্রেলিয়ার কতিপয় রাজনৈতিক ভাষ্যকার দেশটির ক্রেডিট রেটিং-কে গ্রীসের ক্রেডিট রেটিং-এর অনুরূপ দেখানোর মাধ্যমে আতঙ্কের ইন্ধন জোগানোর প্রচেষ্টা চালিয়েছিলো। অবশ্য রেটিং সংস্থাগুলোর সহজলভ্য সর্বজনীন তথ্য থেকে দুটো অর্থনীতির বিস্তর প্রভেদ খুব স্পষ্টভাবে চিহ্নিত করা যায়।
অজ্ঞতার ব্যাপৃতি আজও সেই সময়ের মতো সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ যখন প্রক্টর তাঁর পরিভাষার পত্তন করেছিলেন (কৃতজ্ঞতাঃ Getty Image)
অজ্ঞতার ব্যাপৃতি আজও সেই সময়ের মতো সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ যখন প্রক্টর তাঁর পরিভাষার পত্তন করেছিলেন (কৃতজ্ঞতাঃ Getty Image)
প্রক্টর বলছেন যে, অধিকাংশ ক্ষেত্রে অজ্ঞতা ছড়িয়ে দেওয়া সম্ভব হয় বিতর্কে ভারসাম্যের ভাব নিয়ে আসতে পারার মাধ্যমে। আমাদের ভেতর একটা সাধারণ ধারণা কাজ করে যে, প্রতিটি বিষয়েরই ভাল মন্দ দুটো দিক থাকে। এই ধারণাটা অনেক ক্ষেত্রে যৌক্তিক নাও হতে পারে। আর এই কৌশল অবলম্বন করেই তামাক প্রতিষ্ঠানগুলো বিজ্ঞানকে ব্যবহার করে তাদের পণ্যসমূহকে অক্ষতিকর হিসেবে উপস্থাপন করত। একই রকম ভাবে জলবায়ু পরিবর্তনের অস্বীকারকারীরাও আজকাল বৈজ্ঞানিক প্রমাণের বিপরীতে তর্ক করার অস্ত্র হিসেবে এই যুক্তি ব্যবহার করে থাকে।
এই ‘ভারসাম্য কৌশল’ ব্যবহারের মাধ্যমে আজকাল সিগারেটওয়ালারা কিংবা জলবায়ু পরিবর্তনের অস্বীকারকারীরা এই দাবি তুলতে সক্ষম হচ্ছে যে, প্রত্যেক গল্পের দুটো ভিন্ন দিক থাকে এবং ‘বিশেষজ্ঞরা ভিন্নমত পোষণ করে’। এর ফলে সত্যের একটি অপলাপ তৈরী করা সম্ভব হচ্ছে। যার ফলশ্রুতিতে অজ্ঞতার জন্ম হচ্ছে।
উদাহরণ হিসেবে প্রক্টর বলেন, তামাকে কার্সিনোজেনের সংশ্লিষ্টতা বিষয়ক অনেক গবেষণা প্রাথমিকভাবে ইঁদুরের ওপর পরিচালনা করা হয়েছিলো। তখন তামাক ইন্ডাস্ট্রি এর প্রত্যুত্তরে বলেছিলো, ইঁদুরের ওপর পরিচালিত গবেষণার দ্বারা মানুষের ঝুঁকিতে থাকা প্রমাণিত হয় না। তা সত্ত্বেও অনেক ধূমপায়ী বিরূপ স্বাস্থ্যগত পরিণতির শিকার হয়ে থাকেন।
অজ্ঞতার এক নতুন যুগ
“আমরা চরম এক অজ্ঞতার যুগে বাস করছি এবং আশ্চর্যের বিষয়, এখানে যেকোনো “সত্য”ই মানুষের নজর কাড়তে সক্ষম হচ্ছে –  রবার্ট প্রক্টর”
তিনি সাবধান করে বলেন, জ্ঞানের পথ ‘সুগম’ হয়েছে, তার মানে এই নয় যে সেটা সহজে উপলব্ধি করা যায়।
“যদিও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এই বিষয়টি ধর্তব্য নয়­– যেমন, পারদের স্ফূটনাংকে সহজেই পৌঁছানো যায়– তবে রাজনৈতিক ও দার্শনিক প্রায়োগিকতার জটিল প্রশ্নসমূহের ক্ষেত্রে দেখা যায় যে, প্রায়শই মানুষের অর্জিত জ্ঞান অন্য যেকোনো কিছুর চেয়ে ধর্মবিশ্বাস কিংবা পরম্পরা, অথবা প্রচারণা থেকে বেশি উদ্ভূত হয়।”
যখন মানুষ একটি ধারণা কিংবা প্রকৃত সত্যকে বুঝতে পারে না, তখন তারা সেসব বিশেষ স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীর শিকারে পরিণত হয়, যারা দ্বিধা সৃষ্টি করার জন্য নিরলস কাজ করে যায় (কৃতজ্ঞতাঃ Getty Image)
যখন মানুষ একটি ধারণা কিংবা প্রকৃত সত্যকে বুঝতে পারে না, তখন তারা সেসব বিশেষ স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীর শিকারে পরিণত হয়, যারা দ্বিধা সৃষ্টি করার জন্য নিরলস কাজ করে যায় (কৃতজ্ঞতাঃ Getty Image)

প্রক্টর অজ্ঞতার ছড়িয়ে দেওয়ার দুটো পদ্ধতি আবিষ্কার করলেন। অজ্ঞতা ছড়িয়ে পড়ে প্রথমত, যখন মানুষ কোন ধারণা বা কোন প্রকৃত ঘটনা ঠিকমতন বুঝে উঠতে পারে না। আর দ্বিতীয়ত, যখন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান অথবা রাজনৈতিক গোষ্ঠীর মতন কোন স্বার্থান্বেষী মহল কোন ইস্যুকে কেন্দ্র করে জল ঘোলা করতে উঠেপড়ে লাগে। তামাক ও জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে অজ্ঞতার ক্ষেত্রে দেখা যায় যে, যারা সত্যকে আড়াল করতে কিংবা দ্বিধান্বিত করতে চায়, তাদের ব্যবহৃত কৌশলগুলো দ্বারা বিজ্ঞানশিক্ষায় অনগ্রসর একটি সমাজের প্রভাবিত হবার সম্ভাবণা বেশি থাকে।

উদাহরণ হিসেবে জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টি চিন্তা করুন। প্রক্টর বলেন, “লড়াইটা শুধুমাত্র জলবায়ু পরিবর্তনের অস্তিত্ব স্বীকারের নয়, ঈশ্বর আমাদেরকে দিয়ে শোষণ করার জন্যেই পৃথিবী সৃষ্টি করেছিলেন কিনা সেটা নিয়ে, ইন্ডাস্ট্রিকে নিয়মাধীন করার অধিকার সরকারের আছে কিনা সেটা নিয়ে, পরিবেশবাদীদের ক্ষমতা দেওয়া উচিত কিনা সেটা নিয়ে, এবং আরো অনেক কিছু নিয়ে হলো এই লড়াই। এই তর্কটা শুধুমাত্র প্রকৃত ঘটনা নিয়ে নয়, বরং যেসব বিষয় থেকে প্রকৃত ঘটনাটি উদ্ভূত হয় এবং প্রকৃত ঘটনা থেকে যেসব ঘটনার জন্ম হয় বলে ধারণা করা হয় সেসব নিয়েও।”

আমাদের সিদ্ধান্ত গ্রহণ

আরেকজন একাডেমিক যিনি অজ্ঞতা নিয়ে অধ্যয়ন করছেন, তিনি হলেন কর্নেল ইউনিভার্সিটির ডেভিড ডানিং। ডানিং সতর্ক করে দিয়ে বলেন, ইন্টারনেট অজ্ঞতা ছড়িয়ে দেওয়ার কাজে সাহায্য করছে। তিনি বলেন, এটি এমন এক জায়গা যেখানে সবারই নিজের বিশেষজ্ঞ নিজেই হতে পারে, যার ফলে তারা ইচ্ছাকৃতভাবে অজ্ঞতা প্রসারের কাজে নিয়োজিত ক্ষমতাশালী স্বার্থগোষ্ঠীর ঘুঁটিতে পরিণত হয়।
ডানিং সতর্ক করে দিয়ে বলেন, “কিছু বুদ্ধিমান মানুষ এখন কেবল একটি ক্লিকের দূরত্বে থাকা সকল তথ্যের সুফল নিবে, অন্য দিকে কিছু মানুষ নিজেদেরকে বিশেষজ্ঞ ভাবতে শুরু করে জ্ঞানের মেকী ধারণার মাধ্যমে বিপথগামী হবে। আমি এই কারণে চিন্তিত নই যে আমরা নিজেদের সিদ্ধান্ত একা একা নেওয়ার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলছি, বরং আমি চিন্তিত নিজেরা নিজেরা সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রক্রিয়াটি অতিরিক্ত সহজ হয়ে গিয়েছে বলে। আমাদের আন্দাজ ব্যবহার করার থেকে বরং বেশি বেশি অন্যদের সাথে পরামর্শ করা উচিত। অন্যদের মতামত ত্রুটিপূর্ণ হতে পারে হয়ত। তবে অনেক সময় তাদের মতামত আমাদের নিজেদের ত্রুটিগুলো শুধরে নেওয়ার ক্ষেত্রে সহায়ক হতে পারে, একই সাথে আমাদের ত্রুটিপূর্ণ বিশেষজ্ঞসুলভ মতামত তাদের ভুলগুলোকে শুধরে নিতেও সাহায্য করে।”
ডানিং বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের অনুপযোগী কিংবা অসাংবিধানিক সমাধানগুলো অজ্ঞতাবিদ্যার একটি দৃষ্টান্ত (কৃতজ্ঞতাঃ Getty Image)
ডানিং বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের অনুপযোগী কিংবা অসাংবিধানিক সমাধানগুলো অজ্ঞতাবিদ্যার একটি দৃষ্টান্ত (কৃতজ্ঞতাঃ Getty Image)

ডানিং ও প্রক্টর আরো সতর্ক করে দিয়ে বলেন যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্সিয়াল প্রাইমারীতে রাজনৈতিক পরিমণ্ডলের উভয় শিবিরেই ইচ্ছাকৃত উপায়ে চরম ভাবে অজ্ঞতা ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ডানিং বলেন, “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ডোনাল্ড ট্রাম্প সাম্প্রতিক সময়ের এক নগ্ন দৃষ্টান্ত, যিনি তাঁর অনুসারীদের সহজ সমাধান বাতলে দেন যেগুলো হয় অনুপযোগী নয়তো অসাংবিধানিক।”

অতঃপর, যদিও তামাক ইন্ডাস্ট্রির বিকাশের চরম পর্যায়ে অজ্ঞতাবিদ্যার উৎপত্তি হয়েছিলো, আজকের দিনেও এই শব্দটি এবং মানবীয় অজ্ঞতা বিষয়ক পড়াশোনা, উভয়ের প্রয়োজনীয়তা অন্য যেকোনো সময়ের মতোই প্রকট।
.

1 thoughts on “অজ্ঞতা ছড়ানোর বিদ্যা নিয়ে পড়াশোনা করেন যিনি

  1. চমৎকার লিখনি। ন্যাশনাল জিওগ্রাফির একটা ডকুমেন্টারিতে দেখেছিলাম; যেখানে যেই ১০টা কারণে পৃথিবী ধ্বংস হতে পারে তা সম্পর্কে বলা হয়েছিলো। হাইড্রোজেন বোমা, ন্যানো টেক, গ্লোবাল ওয়ার্মিং ইত্যাদি থাকা লিস্টে সর্ব প্রথম হয়েছিলো মিস ইনফর্মেশন। এই লিখা পড়ে আবারো ধারণা পরিস্কার হয়ে গেলো।

প্রত্যুত্তর দিন

আপনার ইমেইল প্রকাশিত হবে না। Required fields are marked *