ভাল অনুবাদের প্রত্যাশায় ও পরিশ্রমে…
আমি সব দুঃখকে মেপে নিই সূক্ষ, সতর্ক দৃষ্টিতে- ভাবি এরা কি আমারগুলোর মতই ভারী- নাকি অপেক্ষাকৃত হালকা, নিক্তিতে। আমি ভাবি তারা কি এর ভার বইছে বহুকাল ধরে নাকি শুরু করলো এইমাত্র আমি স্মরণ করতে পারিনা কবে থেকে এ ভার বইছি যেন ম্লান হয়ে গেছে অহোরাত্র। ভাবি বেঁচে থাকা কি দুঃসহ- আর যদি তারা চায় তবে…
প্রথম পর্ব।। দ্বিতীয় পর্ব।। তৃতীয় পর্ব।। চতুর্থ পর্ব।। পঞ্চম পর্ব।। ষষ্ঠ পর্ব এই যে দরবেশ, ঐ জঙ্গলে তাঁর আবাস যে জঙ্গল গড়িয়ে নেমেছে সাগরটায়। কিভাবে সে তাঁর উচ্চস্বরের কণ্ঠটা ধারণ করে! নাবিকদের সাথে কথা বলতে সে ভালোবাসে যারা এসেছে দূরের কোন দেশ থেকে। সে নতজানু হয়, সকালে, বিকেলে এবং সন্ধ্যায়— তাঁর আছে একটা গোলগাল তুলতুলে গদিঃ এটা…
প্রথম পর্ব।। দ্বিতীয় পর্ব।। তৃতীয় পর্ব।।চতুর্থ পর্ব।। পঞ্চম পর্ব প্রথম কণ্ঠ “কিন্তু বলো আমায়, বলো! কথা বলো, আবারো আওয়াজ তোলো তোমার ঐ নরম কণ্ঠে— কিসের জোরে ছুটে চলেছে এই জাহাজ? কী করছে এই সাগর?” দ্বিতীয় কণ্ঠ “এখনো সে কেবল ঈশ্বরের এক গোলাম মাত্র, সাগরটার নিজস্ব কোনো প্রবাহ নেই; তাঁর উজ্জ্বল বড় চক্ষু, নীরবে তাকিয়ে আছে মাথার…
যদি চিত্রশিল্পী হতাম আমি নিশ্চিত এই কবিতার শিরোনামই হতো আমার সিগনেচার থিম। স্বেচ্ছাচারী সূর্যটা দৌড়ে ঠিক মাথার উপরে গিয়ে দাঁড়ায় যেন সে প্রাচ্যের কোনো এক স্বৈরাচার। গরিব লোকটি হাঁটু গেড়ে তোষামোদের ভঙ্গিতে অনুকরণ করে টমি হিলফিগারের পুরনো কাপড় খণ্ডে একটি ন্যাংটো গাছের মৃতপ্রায় ছায়ার তলে। সে হাতে আগলে আছে পোড়া মাটির একটি বোল— বোলটা কোনো…
প্রথম পর্ব।। দ্বিতীয় পর্ব।। তৃতীয় পর্ব।।চতুর্থ পর্ব আহ ঘুম! একটা প্রশান্তির জিনিস, উত্তর থেকে দক্ষিণ মেরু, সবাই তাঁকে ভালোবাসে! সকল প্রশংসা ঐ মেরি কুইনের জন্যে! সেই তো স্বর্গ থেকে পাঠিয়েছে এমন প্রশান্তির ঘুম, যে ঘুম পিছলে ঢুকে পড়েছে আমার আত্মার অভ্যন্তরে। ডেকের উপর খালি পাত্র গুলো, অনেকক্ষণ ধরে এমনিই পড়ে ছিলো, স্বপ্নে দেখলাম, পাত্র গুলো…
প্রথম পর্ব।। দ্বিতীয় পর্ব।। তৃতীয় পর্ব ‘তোমাকে আমার ভয় করে, বুড়ো নাবিক! ভয় করে তোমার ঐ হাড্ডিসার হাত! তোমার সরু, ক্ষীণ আর বাদামী দেহ ঠিক যেন সাগরের বুকে ভেসে উঠা সরু চর। তোমাকে আমার ভয় করে, ভয় করে তোমার চকচকে চোখ, তোমার হাড্ডিসার অতি বাদামী হাত।’— ভয় নেই, ভয় পেওনা, হে বিয়ের-অতিথি এ দেহটা এখনো…
|| প্রথম পর্ব || || দ্বিতীয় পর্ব || একটা ক্লান্ত সময় পার হচ্ছিলো। প্রতিটা কণ্ঠনালী শুকিয়ে হয়েছিলো কাঠ, চকচক করছিলো প্রতিটা চক্ষু, একটা ক্লান্ত সময়! একটা ক্লান্ত সময়! কিভাবে চকচক করছিলো প্রতিটা ক্লান্ত চোখ, যখন চোখ রাখলাম পশ্চিমাভিমুখে, দেখলাম কিছু একটা নড়ছে আসমানে। প্রথমে মনে হলো যেন একটা ছোট্ট কণা, পরে মনে হলো এক খণ্ড কুয়াশা; এটা…
প্রথমাংশের পর সূর্যটা এখন উদিত হলো ডান দিকটায়, যেন সাগরের নিচ থেকে ভেসে উঠলো, এখনো কুয়াশায় লুকিয়ে আছে, বাঁ দিকটায়, ডুব দিলো সাগরে। এবং এখনো সুন্দর দখিনা বাতাস বয়ে চলছে পেছনে, কিন্তু এবার কোনো সুন্দর পাখি আমাদের পিছু নেয়নি, না কোনো পাখি এসেছিলো খেতে অথবা খেলতে নাবিকের কামরায়! এবং আমি একটা পাপিষ্ঠ কাজ করে বসেছি,…
ভূমিকা ইংরেজ রোমান্টিক কবি স্যামুয়েল টেইলর কোলরিজ তাঁর এই কবিতা “দ্যা রাইম অব দ্যা এইনশানট মেরিনার” এর জন্য সুবিখ্যাত। কবিতাটা মূলত কাহিনী নির্ভর। প্রশান্ত মহাসাগরে প্রচণ্ড ঝড়ের কবলে পড়ে, অদ্ভুত সব ঘটনা আর এডবেঞ্চারের পর কিভাবে মধ্য দিয়ে বৃদ্ধ নাবিক দেশে ফিরে আসে সেই লোমহর্ষক ভূতুড়ে কাহিনী বুড়ো লোকটি মানুষকে ধরে বসিয়ে শোনায়। একবার, দুইবার,…
টোলপড়া এক মাকড়সা দেখি, হোঁৎকা এবং সাদা, মথ একটা মুখে ধরে বসা সাদা হিল-অল* ফুলে, মথটাও সাদা, দৃঢ় রেশমের মতো যেন তুলতুলে– মৃত্যু ও মড়কের হরেক চরিত্রের এই মিশ্রণ যেন সদা। প্রস্তুত নিতে ব’রে প্রভাতটাকে দিয়ে উপযুক্ত মর্যাদা, ডাইনীদের রাঁধা তরল খাবারের মতো সব একত্রে গেছে গুলে– তুষার-শুভ্র এক মাকড়সা, এক ফেনার মতো ফুলে, আর…