কসমসের নবম এপিসোড, The Lives of the Stars-এ আপনাদের সবাইকে স্বাগতম। আজকের এপিসোডের শুরুটা একটু ভিন্ন। শুরুতে বেশ কিছুক্ষণ ধরে একটা আপেল পাই বানাতে দেখালো। বানানোর পর সেটা নিয়ে আসা হলো কার্ল সেগানের সামনে। সেটা কাটতে শুরু করার আগে তিনি বললেন, “আপনি যদি একদম গোড়া থেকে একটা অ্যাপল পাই বানাতে চান, তাহলে আগে আপনাকে গোটা ব্রহ্মাণ্ড আবিষ্কার করতে হবে।” কেন? অবিস্মরণীয় উত্তরটা আছে কসমসের নবম এপিসোডে।
অনুবাদ সম্পাদনা
ফরহাদ হোসেন মাসুম
অনুবাদ দল
ফারিয়া মিতি
রবিউল হাসান লিংকন
এবং ফরহাদ হোসেন মাসুম
এপিসোড ৯ বাংলা সাবটাইটেল –
Episode 9 – The Lives of the Stars, এখানে ক্লিক করে ডাউনলোড করুন
.
সকল এপিসোডের ভিডিও ডাউনলোড লিংক –
কসমস ডাউনলোড লিংক
এই দৃশ্যটা শুরু হয়েছিলো কেম্ব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে, যেখানে পরমাণুর তিনটি প্রধান মৌলিক কণা (ইলেকট্রন, প্রোটন, আর নিউট্রন) আবিষ্কৃত হয়েছিলো। শুরুতে একদম ক্লাস সিক্সের কিছুটা ক্লাস নিলেন। কিন্তু এই কথাগুলো কেবল ভূমিকা ছিলো। এগুলো বলে আলোচনা শুরু করে কার্ল সেগান এমন এক যাত্রায় নিয়ে গেছেন, যাতে আমাদের গোটা প্রজাতি এবং অন্য সকল জীব বা বস্তুর আদি-অন্ত দেখা হয়ে যাবে। অসম্ভব বিশাল আর অসম্ভব ক্ষুদ্রের দিকে যাত্রা শুরু হবে।
অসীম কত বড়, সেটা বলতে গিয়ে উনি গুগল (googol) আর গুগলপ্লেক্স (googolplex)-এর সাথে আমাদের পরিচয় করিয়ে দিলেন। গুগলপ্লেক্স লিখতে শুরু করা একটা কাগজের রোল নিয়ে উনি যে কী বাচ্চাদের মত খুশি হয়ে গেলেন, দেখলে প্রাণ জুড়িয়ে যায়! এই ব্যক্তিগত সম্পর্কগুলোর জন্যেই মনে হয় এই সিরিজের সাব-ক্যাপশন – একটি ব্যক্তিগত উপাখ্যান (A Personal Voyage).
এরপর শুরু হলো নক্ষত্রের জন্ম, জীবন, আর মৃত্যু নিয়ে আলোচনা। আগের একটা (তৃতীয়) পর্বে সেগান বলেছিলেন – আমরা নক্ষত্রের সাথে যুক্ত। কিন্তু জ্যোতিষশাস্ত্র যেভাবে বলে, সেভাবে নয়, আরো গভীরভাবে। আজকের পর্বে নক্ষত্রের জীবন দেখতে গিয়ে আমরা দেখলাম, আমরা আসলেই কী গভীরভাবে সংযুক্ত! কী মায়া কসমস আর আমাদের মাঝে!
আমরাই কসমস! কসমস আছে আমাদের মধ্যেই। আমরা সবাই কসমসের সন্তান। কসমসের জ্ঞান আহরণ মানে নিজেদের ব্যাপারে জানা, নিজের পূর্ব-পরিচয় জানা। আসুন, নিজে জেনে নেই, অন্যদেরকেও জানাই নক্ষত্রের সাথে আমাদের আত্মার বন্ধনের কথা।