এখানে দেখুন, কর্মশালা-১
এখানে দেখুন, কর্মশালা-২
শুরুতেই আসুন দেখে নিই, আগের কর্মশালাতে যে প্র্যাকটিসটা ছিলো, সেটার ব্যাপারে সামান্য একটু আলোচনা
কর্মশালা – ২ এর অনুশীলন
A quote from Lord of the rings.
“Many that live deserve death. And some that die deserve life” – বলা হয়েছিলো, দুভাবে করতে – একটা বইয়ের জন্য, আরেকটা মুভির জন্য। বলেছিলাম, মুভির জন্য যতটা করা যায়, ততটা সংক্ষিপ্ত করে করবেন।
এটাকে অনেকে অনুবাদ করেছেন এভাবে, এমন অনেকেই বেঁচে আছে যাদের বেঁচে থাকার কথা নয়, অথচ মৃত অনেকেরই বেঁচে থাকা উচিত ছিল – এতো বড় লাইন বইয়ের ক্ষেত্রে হয়তো চলতে পারে, কিন্তু মুভি দেখার সময় ইংরেজি ছোটো লাইনটা পড়তে যতটুকু সময় লাগে সেই কম সময়ের মধ্যে এটা পড়ে শেষ করতে কষ্ট হবে।
একজন সংক্ষিপ্ত অনুবাদ দিয়েছেন এমন করে, জীবিত অনেকেরই মৃত্যু প্রাপ্য, আর মৃত অনেকেরই প্রাপ্য জীবন – এটা সংক্ষিপ্ত, সন্দেহ নেই। কিন্তু ভাবটাও বেশি সংক্ষিপ্ত হয়ে যায়।
মুভি আর বই দুটোর জন্য আলাদা করে করতে বলা হলেও এই অনুবাদটা দুটোর জন্যেই যথাযথ,
মৃত্যু প্রাপ্য হলেও অনেকেই বেঁচে থাকে। আর বাঁচার কথা থাকলেও মরে যায় অনেকেই।
কর্মশালা – ৩
YOU = আপনি, তুমি, তুই
খুব সহজ এই একটা জিনিস আমরা ভুলে যাই। পারেন, পারো, পারিস অথবা করুন, করো, কর ইত্যাদির মধ্যে থেকে সঠিক পুরুষ বেছে নেয়া খুবই জরুরী। এটা করার জন্য আপনাকে সম্পর্কগুলো ভালো করে বুঝতে হবে। এরপর নিজেকে দিয়ে চিন্তা করুন, আপনি ওখানে থাকলে কোন পুরুষ ব্যবহার করতেন।
লর্ড অফ দ্যা রিংসে পিপিন যখন গন্ডর-এর লর্ড এর সাথে কথা বলবে, তখন নিশ্চয়ই তুমি করে বলবেনা। অথবা ভি ফর ভেণ্ডেটাতে ডমিনিক যখন ওর বস মিঃ ফিঞ্চের সাথে কথা বলবে, তখন নিশ্চয়ই তুমি করে বলবে না। আবার মিঃ ক্রিডি যখন ভি’কে মরতে বলবে, তখন নিশ্চয়ই তুমি বা আপনি করে বলবে না। তাই, বাংলা করতে গেলে you এর সঠিক অনুবাদ খুবই জরুরি। এই একটা ভুল প্রায় সবাই করে থাকে (বা করেছে আমাদের আগের প্রজেক্টগুলোতে)……
“……” এর ব্যবহার
মুভির সাবটাইটেল অনুবাদের ক্ষেত্রে বাক্য শেষ না হলে “……” ব্যবহার করুন এবং পরের চলমান অংশ শুরু হওয়ার আগে “……” ব্যবহার করুন। তাহলে কী যেন নেই অনুভূতিটা আসবে না।
Oh my god অথবা oh, god = হে খোদা
এটাকে অনেকে ‘ওহ, গড’ রেখে দেন অথবা ‘হায়, ঈশ্বর’ হিসেবে অনুবাদ করেন। এই phrase টা বারবারই আসে, বারবার দেখা যায়।
বানানের দিকে লক্ষ্য রাখুন
১) মানুষ “ন আর ণ”- এই দুটোর মধ্যে এতো বেশি গোল পাকায়, এটা ধারণার বাইরে। ছোটোখাটো বানান, যেমন – কারণ, নিয়ন্ত্রণ, সাধারণ – বানানেও অনেকেই দেদারসে “ন” ব্যবহার করে।
২) আরেকটা হচ্ছে চন্দ্রবিন্দু, এটার ব্যাপারে সবাই খুব কিপ্টে। “হ্যাঁ” বানানেও চন্দ্রবিন্দু দিতে চায় না কেউ।
৩) আরেকটা ট্রিকি বানান হচ্ছে “জ্বি”, যেমন, “হ্যালো, জ্বি বলছি”… এটাকে কেউ জ্বী লেখে, কেউ জি, কেউ জী।
বানানরীতি নিয়ে আমাদের পুরো একটা কর্মশালা হবে। আপাতত, চতুর্থ কর্মশালায় অংশ নিন এখানে, অনুবাদ কর্মশালা ০৪