কসমসের সপ্তম এপিসোড The Backbone of Night-এ, রাতের আকাশের গল্প শুনতে আপনাদের সবাইকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। রাতের তারাখচিত আকাশ আমাদের সবাইকে মুগ্ধ করেছে। একটা প্রজন্মের রাত কেটেছে শুধু আকাশ দেখেই। আসুন, সেই আকাশকে একটু নতুন করে দেখি, কার্ল সেগানের চোখে, অনুবাদকদের আড্ডার আয়োজনে, মাতৃভাষা বাংলায়।
অনুবাদ সম্পাদনা
ফরহাদ হোসেন মাসুম
অনুবাদ দল
রাতুল এন সাকিব
কামাল হোসেন রবিন
এবং ফরহাদ হোসেন মাসুম
এপিসোড ৭ বাংলা সাবটাইটেল –
Episode 7 – The Backbone of Night, এখানে ক্লিক করে ডাউনলোড করুন
.
সকল এপিসোডের ভিডিও ডাউনলোড লিংক –
কসমস ডাউনলোড লিংক
সাহারা মরুভূমির ক্বং (উচ্চারণটা অদ্ভুত, সেগানের মুখ থেকে শুনে নিয়েন) আদিবাসীরা আকাশগঙ্গার সরলরেখা দেখে সেটার একটা ব্যবহারিক দিক হাজির করেছিলো। বলেছিলো, সেটা নাকি রাতের মেরুদণ্ড। সেটা না থাকলে নাকি আকাশ ছিটকে পড়ে যেতো। সেই আকাশগঙ্গাকে গ্রীকরা বললো, মিল্কি ওয়ে বা দুধের পথ, হেরা দেবীর স্তন থেকে বয়ে চলা দুধের নহর। আমরা সেটাকে ডাকি আকাশগঙ্গা, যে গঙ্গা আকাশে বয়ে চলে।
এই তারাদেরকে প্রথম সুচিন্তিত ধারণাগুলো এসেছিলো আয়োনিয়ান বিজ্ঞানীদের কাছ থেকে, অর্থাৎ ২৫০০ বছর আগের গ্রীকদের কাছ থেকে। তাই, গল্প করতে করতে সেগান চলে গেলেন গ্রীসের মাইলিটাস আর এবডেরাতে, যেখানে ডেমোক্রিটাস আর অ্যারিস্টার্কাসদের জন্ম। বললেন, কিভাবে ঐ সময় পিথাগোরাস আর প্লেটো বিজ্ঞানের অনেক উন্নতি সাধন করলেন ঠিকই, কিন্তু বিজ্ঞানযাত্রাকে পিছিয়ে দিলেন হাজার হাজার বছর। পিথাগোরাসই প্রথম কসমস শব্দটা ব্যবহার করেছিলেন, বলেছিলেন ব্রহ্মাণ্ড একটা নিয়ম মেনে চলে। ব্রহ্মাণ্ডের সেই নিয়মমাফিক আর বিস্ময়কর চরিত্রটাই হচ্ছে “কসমস”।
তিনি চলে গিয়েছিলেন নিজের শৈশবেও, যখন তিনি প্রথম তারাদের কথা জেনেছিলেন। ঘুরে এসেছেন তার শৈশবের স্কুল থেকে, কথা বলেছেন ওখানকার বাচ্চাদের সাথে। আর শেষ করেছেন, একটা আশাবাদ ব্যক্ত করে। বলেছেন, “আমরা অভিযাত্রী ছিলাম, এখনো অভিযাত্রীই আছি। আমরা অনেকদিন অপেক্ষা করেছি, মহাজাগতিক সমুদ্রের সৈকতে। অবশেষে আমরা এখন, নক্ষত্রের উদ্দেশ্যে যাত্রা করতে প্রস্তুত।”
এই যাত্রার যাত্রী আমরা সবাই। মহাজাগতিক এই যাত্রায় আপনি, আমি, সবাইকে স্বাগতম!
মন্তব্য *
সবগুলি সাব একসাথে করে কি সাবসিনে মুক্তি দিবেন?